‘জিম্বাবুয়ের নেতা রবার্ট মুগাবে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগে রাজি হয়েছেন। এ জন্য তিনি একটি খসড়া চিঠিও প্রস্তুত করেছেন।’ সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুগাবের পদত্যাগ আলোচনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট জিম্বাবুয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলছেন, নিজের, স্ত্রীর এবং তার ব্যক্তিগত সম্পত্তির পূর্ণ নিরাপত্তাসহ মুগাবের বেশ কিছু দাবি মেনে নিয়েছেন দেশটির সেনা প্রধান।
তিনি বলেন, রোববার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মুগাবে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলকে সাংবিধানিকভাবে বৈধ ঘোষণা করবেন বলে প্রত্যাশা করেছিলেন সেনা জেনারেলরা। এমনকি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুগাবের বোঝাপড়াও হয়েছিল সেরকম।
জিম্বাবুয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, পদত্যাগের জন্য প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই সংসদের স্পিকারের কাছে একটি চিঠি পাঠাতে হবে। জিম্বাবুয়েতে অনিশ্চয়তার নতুন একটি সপ্তাহ শুরু হয়েছে। রোববার মুগাবের নিজ দল জানু-পিএফ প্রধানের পদ থেকে বহিষ্কারের পর দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধের এ গেরিলা নেতাকে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে সংসদে অভিশংসনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে জানু-পিএফ। রোববার টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন ৩৭ বছরের দেশ শাসনের অবসানে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন মুগাবে। কিন্তু সেই ঘোষণা না দেয়ায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন।
এর আগে শনিবার মুগাবের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী হারারের রাস্তায় সেনাবাহিনী ও জানু-পিএফের সমর্থনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেন। বুধবার দেশটির শাসনক্ষমতা সেনাবাহিনী কেড়ে নেয়ার পর থেকে গৃহবন্দি রয়েছেন মুগাবে।
রোববারের ভাষণে মুগাবে কোথাও যাবেন না বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি তার রাজনৈতিক দল জানু-পিএফ’র আগামী কংগ্রেসে নেতৃত্ব দেয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে মুগাবের ওই ভাষণের পর জিম্বাবুয়ের রাস্তায় অনেকেই নেমে আসেন; এসময় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন। হারারের বাসিন্দা টিনা মাদজিমুর মুগাবের ওই ভাষণকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি সেনা জেনারেলদের বোকা বানিয়েছেন।’
মাদজিমুর বলেন, ‘এই মানুষটি জিম্বাবুয়েকে তার হাতে নিয়ে কবরে যাবেন।’
Leave a Reply